মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার :
আলোকিত সমাজ বলতে আমরা বুঝি একটি শান্তিকামী জনগোষ্ঠী, যারা ন্যায় ও ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে একটি সহিষ্ণু পরিবেশে বসবাস করে, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে,। দলমত, ধর্ম – বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকে, একে অন্যের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়, একে অন্যের প্রতি মমত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ ও সহানুভূতিশীল জীবনযাপন করে। তখন এই সমাজ দূর্নীতি ও অপরাধমুক্ত থাকে, দেশাত্মবোধক ও দেশপ্রেম তাদের কাছে ব্যাক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে অগ্রাধিকার পায়। এতে শিষ্ঠের পালন ও দৃষ্টের দমনে তারা ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করে সুখ – দুঃখে একে অন্যের অংশীদার হয়। এ সমাজের মানুষগুলো উন্নত চরিত্র ও নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হয় ইত্যাদি। আলোকিত সমাজের লোকগুলো সুশিক্ষা গ্রহণের ব্রত গ্রহণ করে, তাদের পারিবারিক অবকাঠামো থাকে মজবুত, গড্ডালিকা প্রবাহে গাঁ- না ভাসিয়ে পরিবার ও সমাজের অভিভাবক ও মুরুব্বিগণ তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে। তাদের স্বকীয়তা ও পরিচয় রক্ষার্থে অপসংস্কৃতি পচন থেকে সমাজকে মুক্ত ও জনগোষ্ঠীকে রক্ষার চেষ্টা করাই হচ্ছে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার অবদান বিষয়ে এক আলোচনা ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি হাসিবুর রহমান মানিক একথা গুলো বলেন ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ( ডিএসসিসির ) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক পরপর ২বার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে “রবির আলো বন্ধু মহল”এর পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । তারিসাথে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ( ডিএসসিসির ) নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে ও অভিনন্দন জানানো হয় এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে,।

গতকাল ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ রসুলবাগ পার্কে বিকেল থেকে দলে দলে সমবেত হতে থাকেন। হাসিবুর রহমান মানিক ২য় বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় এলাকা বাসীর চোখে-মুখে ছিল অন্যরকম এক আনন্দের প্রতিচ্ছবি ছায়া।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক আরও বলেন, আমি প্রথমেই আমার এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে আবার ভোট দিয়ে ২য় বারের মত তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজনীতি করছি। আজকে যারা আমাকে গণসংবর্ধনা দিচ্ছেন। তাদের ভালোবাসা আমার প্রতি প্রদান করছেন। এজন্য, আমি তাদেরকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের এ ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারব না। আপনারা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ বুক বরা প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন,। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আমি আপনাদের সেই প্রত্যাশাগুলো একটি একটি করে বাস্তবায়ন করবো ।

তিনি বলেন, এলাকাবাসীর ভালোবাসার অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আমি গত ৫ বছরে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত করতে পারিনি। সেগুলো এবারে আমি সমাপ্ত করব। ইনশাল্লাহ, আমার এলাকাবাসী ও আপনাদের সহযোগীতায়। এক সময় এ রসুলবাগ পার্কে মাদকের আস্তানা ছিল। মাদক, গাঁজা, হেরোইন, বখাটে ও ছিনতাইকারীদের আড্ডা ছিল এ পার্কে। আমি আমার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ পার্ককে সকল জঞ্জালমুক্ত করেছি।

তিনি আরো বলেন, এ পার্কটি একসময় অবহেলিত ছিল। এখানে, আমার মা-বোনরা আসতে পারত না। অন্ধকার ছিল। রিকশা গ্যারেজে রাতের অন্ধকারে অবৈধ কাজ চলত। আমি নবীন-প্রবীণ সমন্বয় করে এখানে খেলার জায়গা, বিনোদন কেন্দ্র, কফি হাউস ও মা বোনদের খোশগল্প করার জায়গা করে দিয়েছি।আমি ২য় বারের মত নির্বাচিত হয়েই এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে এ রসুলবাগ পার্কটিকে উদ্ধার করি।

হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, গতবার আমি যেসব এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, খুলে ফেলা হয়েছে। পুনরায়, আমি সেসব সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি, যেসব অলিগলিতে সুয়ারেজ লাইনে ম্যানহোলের ঢাকনার উপর দিয়ে মানুষ চলাচলের ঝুঁকি রয়েছে। সেসব লাইনগুলোতে লোহার আলাদা সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করব। যাতে করে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন।

তিনি বলেন, আমি এলাকাবাসীকে যেসব কথা দিয়েছি সেগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করব। পাশাপাশি, আমি এ বছরে পাঠাগার ও ব্যায়ামাগার উদ্বোধন করব। এরমধ্যে, আমি ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। বাকি ১০ শতাংশ কাজ এবার শেষ করব। পিডব্লিউডি এর ৯০ টির উপরে কোয়াটার আছে আমার ওয়ার্ডে। ৬ টা ২০ তলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে। যেহেতু, পিডব্লিউডি এর জায়গা এখানে বেশী। তারা যদি আমাদের অকেজো জায়গা দেন। তাহলে, আমরা সেখানে ময়লার কন্টেইনার তৈরি করে দেব।