নইন আবু নাঈম ঃ
বর্ষা মৌসুম এলেই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ৩৫ হাজারের অধিক মানুষকে। দেশের সর্ব-দক্ষিনে অবস্থিত এ উপজেলাটি ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার আনুমানিক জনসংখ্যা ২লাখ। উপজেলার অন্য ৩ ইউনিয়নের ইউনিয়নের যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হলেও দীর্ঘ বছর ধরে সাউথখালীর ৯টি ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোর সংস্কার না হওয়ায় ইউনিয়নটির যাতায়াত ব্যবস্থার একেবারেই বেহাল দশা। যার ফলে প্রসাশনিক এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ নানা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বর্ষা মৌসুমে উপজেলা সদর থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে হয়। তবে, উন্নয়নমুখী সরকারের আমলে দীর্ঘবছর ধরে ইউনিয়নটি চরম অবহেলিত থাকায় এবং সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের ভুমিকায় স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩৫কিলোমিটারের আয়তনের ওই ইউনিয়নটির সোনাতলা, দক্ষিন তাফালবাড়ী, চালিতাবুনিয়া, উত্তর-সাউথখালী, খুড়িয়াখালী, দক্ষিন-সাউথখালী এবং বগী ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ন ১৪/১৫টি সড়ক সংস্কার না হওয়ায় জনসাধারনের দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। প্রতি বছরের বরাদ্ধকৃত এডিপি, টি.আর, কাবিখা ও কাবিটাসহ উন্নয়ন তহবিলের সরকারি বরাদ্ধের নয়-ছয় হওয়াসহ জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতার অভাবে সাউথখালীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
খুড়িয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রাসেল মুন্সি, মোফাজ্জেল হাওলাদার, হালিম হাওলাদার, ফয়সাল বয়াতী সহ স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ইউনিয়নটির মতো শরণখোলায় আর কোন রাস্তা-ঘাট আছে বলে আমাদের মনে হয় না। যাতায়াতের সময় হাঁটু সমান কাঁদা ভেঙ্গে নারী-পুরুষ, শিশু ও অসুস্থ্য রোগী নিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
৯নং খুড়িয়াখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বাচ্চু মুন্সি সহ সাউথখালী ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটের আবস্থা খারাপ। বছরের প্রায় ৬মাস ইউনিয়নটি জুড়ে এমন অবস্থা থাকায় এখানকার এলাকাবাসী দুর্ভোগের মধ্যে আছে।
তবে, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের যে কোন প্রকল্প পাশ করাতে গেলে তা তদবির ছাড়া হয় না। বিভিন্ন ওয়ার্ড়ের একাধিক রাস্তা-ঘাট সহ আমার ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ন স্থাপনা নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের পাশাপাশি অনেক দপ্তরে ইতিমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছরে যে সরকারি বরাদ্ধ পেয়েছি তা সমহারে বন্টণ করেছি।
এব্যাপারে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ওই ইউনিয়নটির জনসাধারনের দুর্ভোগ পর্যায়ক্রমে লাঘবের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।