একজন কবি-সাহিত্যিক লেখক কিংবা রম্যলেখক তার মনের চিন্তা-চেতনাকে-
শব্দের বর্ণীল বিন্যাস আর শব্দের শৈল্পিক শব্দ সংযোগে সৃষ্টি করে, একটি কাব্য কিংবা উপন্যাস-প্রবন্দ্ব অথবা কবিতা।
কিন্তু, কখনো কখনো এটি আবার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাকতালীয় ভাবে মিলে ও যায়!
তবে এখানে লেখকের দায়বদ্ধতা বাংলাদেশ দন্ড বিধির ১৯৭২ এর সাংবিধানিক ধারার প্রণীত আইনে নেই।

কেননা এটা শুধু একজন লেখকের কাল্পনিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ মাত্র ;

এখানে লেখক কোনো ব্যক্তি বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে ব্যঙ্গ বা কটাক্ষ করার উদ্দেশ্য মোটেই নহে!
যাক-
এবার আসি আমার আজকের এক কাল্পনিক চেতনার এক মহাসত্যবান, ন্যায়- নিষ্ঠ এক রাজার কথায়।
মহাসত্যবান সেই রাজা রাজ্যজুড়ে ঘোষণা বা প্রঙ্গাপণ জারি করলেন যে-
মেরকট মারলে তার ভেরকট হবে(মারকশা+ ভেরকট- সেই ব্যক্তিকে দন্ত দেওয়া হবে।
এমনভাবে মহাসত্যবান রাজার এ প্রচলিত আইন বা ঘোষণা বহুকাল যাবৎ চলছে সেই রাজ্যজুড়ে।

কিন্তু সময় সন্দ্বিক্ষণে কে যে কখন মহান বিধাতার এ মহা পৃথিবীর মালিকের চক্রে বধ হয়ে যায় সেটা কেউ জানে না।

জানে শুধু সময়ই-
তো একদিন সেই মহাসত্যবান রাজার নিজ তনয়(পুত্র) একটি মেরকট- (মারকশা মারলো)
তাৎক্ষণিক গ্রামের একজন সাহসী মানুষ সত্য বান রাজার কাছে গিয়ে এ আরজি সত্য বান মহা রাজাকে জানালেন –
হে-
মহাসত্যবান আমাদের মহারাজা আপনিতো বহুকাল যাবৎ প্রচলিত আপনার প্রচলিত আইনের সুশাসনে অনেক মানুষকে দন্ডিত করলেন!
কিন্তু –
আজ যে আপনার তনয়-পুত্র- একটি মেরকট ( মারকশা)
নিধন করলো আজ তার কি হবে?
প্রতিউত্তরে রাজা যাহা বললেন তাহা আমি ফেসবুকে প্রকাশ করলে তাহা সভ্যতার আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে বলে অপ্রকাশিত রাখলাম।

কিন্তু – অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হলো, আমাদের আজকের এ আধুনিক সমাজ ব্যবস্থাতে ও এমন কাল্পনিক রাজাদের বিবেক বর্জিত কারনে হারিয়ে যাচ্ছে এ আধুনিক বিশ্বায়ণও-
অবক্ষয়ের অতল গহ্বরে।

আজ এ পর্যন্ত-
বিদায়,,,দেখা হবে আগামী কোনো প্রকাশনায় 🎠