লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া সীমান্ত দিয়ে হুন্ডী মাইদুল ইসলাম গং এর নেতৃত্বে শতাধিক ভারতীয় গরু সহ বিপুল পরিমান মাদক পাচারের অভিযোগ এবং ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ২৬টি মটর সাইকেল, ভারতীয় ১১টি গরু চামটারহাট থেকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৯নং আদর্শ গোতামারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দইখাওয়া বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ফরিদ ও হাবিলদার আনোয়ারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে স্থানীয় হুন্ডী মাইদুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, রবিউল ইসলাম ওরফে রবি ও ছাদিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে হুন্ডী ও মাদক সিন্ডিকেটের ৪০ সদস্য বিশিষ্ট এক পাচারকারীর দল শুক্রবার ভোর রাতে দইখাওয়া গ্রামের ৯০১ থেকে ৯০৬ নং পিলারের মাঝ দিয়ে ভারতীয় শতাধিক গরু, গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিপুল পরিমানের একটি বড় চালান পাচার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেছে বলে এ প্রতিবেদককে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার বিজিবির হাবিলদার আনোয়ার কর্তৃক সাধারণ জনগণকে আটক করে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসী ও বিজিবির মাঝে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হাবিলদার আনোয়ার জনগণের ধাওয়ার মুখে ক্যাম্পে পালিয়ে যায়। অপরদিকে ভ্রাম্যমান আদালত বৃহস্পতিবার চামটারহাটে অভিযান চালিয়ে ১১টি ভারতীয় গরু ও ২৬টি মটর সাইকেল আটক করেছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। কুখ্যাত মাইদুল ইসলাম গং ৪০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেটের দল নিয়ে এবং তার নেতৃত্বে কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরুর বিজিবি’র লাইনম্যানীর অন্তরালে হুন্ডী ও মাদকদ্রব্য চোরাচালানের কাজ অব্যহত রেখেছে। এলাকাবাসী জানান, মাইদুল ইসলাম গং বেপরোয়া ও দুর্দান্ত কুখ্যাত হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি সাহসী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার প্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্ত চলমান রয়েছেন। তবে এলাকাবাসী অবিলম্বে মাইদুল ইসলাম গং কে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।