শরীয়তপুর জেলা সখিপুর থানার দক্ষিনতারাবুনিয়ার চেয়ারম্যান শাহজালাল মাল ও তার স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার টাকা লোন গ্রহন করেন ২০১৪/১৫ সালে উত্তর তারাবুনিয়া ডেইরি ফার্ম নামে একটি প্রজেক্টের নামে। তথয় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে চেয়ারম্যান শাহজালাল মালের প্রতারণার চিত্র। আমাদের প্রতিনিধি সরজমিনে গিয়ে দেখেন ডেইরি ফার্মে গরুর পরিবর্তে সেখানে চেয়ারম্যান সপরিবারে বসবাস করছেন। উক্ত লোনের টাকায় তিনি এখন করছেন চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সাথে করছেন এক বিলাসবহুল দ্বি তলা অত্যাধুক ভবন। তিনি ২০১৪/১৫ সালে ব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করলেও অদ্যবদি তা পরিশোধ এমনকি কিস্তি পর্যন্ত পরিশোধ করেননি। পরিবারের লোকজনকে আওয়ামিলীগ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে প্রভাব বিস্তার করে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার এক দেড় মাসের মাথায় এলাকার লোকজনকে পরিষদে নিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তার আপন ছোট ভাই মিন্টু মাল এলাকায় চাঁদাবাজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানাতে পরি চেয়ারম্যান শাহজালাল মাল একজন উগ্রমেজাজী লোক। এলাকার অনেক বয়স্কদের গায়েও তিনি হাত তুলেছে। এবার চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়ন থেকে শাহজালাল মাল ও তার ভাই মিন্টু মাল চেয়ারম্যান প্রার্থী। দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নে ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তার মধ্যে আপন দুই ভাই শাহজালাল মাল ও মিন্টু মাল অন্য জন আলহাজ্ব সমিদ মাঝি। শাহজালাল মালে আশংকা ছিলো ব্যাংক লোনে ঝামেলা হতে পার তাই তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার সম্ভবনা বেশী তাই তার ছোট ভাই কে ডেমি প্রার্থী হিসাবে রাখছে।
সব শেষে এবার এলাকাবাসী শাহজালাল মালকে ভোটের মাঠে তার কৃতকর্মের মাশুল দিবে দক্ষিন তারাবুনিয়ার জনগন।