গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানা এলাকার চক্রবর্তীতে পেষাদার যৌতুক ব্যাবসায়ী পরিবার কর্তৃক শ্যালক’কে পিটিয়ে আহত। তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের। যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আয়েশা আক্তার নামে এক গৃহবধূ।
অভিযোগ সুত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার বলছেন আজ থেকে ১২বছর পূর্বে লক্ষীপুর জেলা সদরের পূর্ব গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত্যু আব্দুল আউয়ালের তৃতীয় পুত্র মোঃ মোক্তার হোসেন (৪২) এর সাথে ঢাকা জেলা গুলশান থানার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ আয়েশা আক্তারের সাথে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ৩নং বিবাদীর বর্তমান ঠিকানা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের চক্রবতীরটেক।মামলার বাদী আয়েশা আক্তারের ভাই মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বোনের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান মোছাঃ মাহমুদা আক্তার(১০) ও একটি ছেলে সন্তান মাহিন(৬) ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতে চিন্তা ভাবনা করে ৩লক্ষ ৬৩হাজার টাকা প্রদান করি ৩নং বিবাদী আমার বোনের স্বামী মোক্তার হোসেনকে। এবং দীর্ঘ বছর ধরে আমার বোনকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো আমার বোনের দু’টি সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে এতদিন সয্য করে আসছিলো। পরবর্তীতে ৩নং বিবাদী আবারও পৃথক বাড়ী করার নামে ১০লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে শরীরের বিভিন্ন যায়গায় যখম করলে আমার বোন আমাকে গত ০২/০১/২০২২ তারিখে আমাকে জানিয়ে সে আমার বাসায় চলে আসে এবং আমি পরে গত ২৯/০১/২০২২ তারিখে রোজ শুক্রবার দুপুরে আমি বিষয়টি জানতে ৩নং বিবাদীর বর্তমান ঠিকানা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানা এলাকার চক্রবর্তীতে মোক্তার হোসেনের বাসায় এসে আমার বোনকে নির্যাতন ও যৌতুকের বিষয়ে জানতে চাইলে ১নং বিবাদী আক্তার হোসেন (৪৫) মোজাম্মেল হোসেন ৩৮ ও ৩নং বিবাদী মুক্তার হোসেন (৪২) আমাকে মার ডাং করে শরীরের নীলা ফুলা যখম করে শারিরীকভাবে নির্যাতন করলে আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দিলে পরে কাশিমপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এলাকাবাসী ও তার পরিবার সুত্রে জানা যায়, অভিযোগে ১,২ ও ৩ নং বিবাদীর পরিবার একটি পেষাদার যৌতুক ব্যাবসায়ী নামে পরিচিত ও সমালোচিত পরিবার ১নং বিবাদী আক্তার হোসেন(৪৫) এর তিনটি বৌ প্রথম স্ত্রী যৌতুকের টাকা চাহিদা মত না দেওয়ায় স্বামীর নির্যাতন সয্যকরতে না পেরে চলে গেছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীও একইভাবে চলে গেছে তৃতীয় স্রীসহ যৌতুকের মামলায় আসামি।
২নং বিবাদী মোজাম্মেল হোসেন তারও একই অবস্থা প্রথম স্ত্রী যৌতুকের নির্যাতন সয্যকরতে না পেরে চলে গেছেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সংগেও একই অবস্থা ৩নং বিবাদীর বাসায় এসে আশ্রয় নিয়ে তারা দু’ভাই মিলে আমার বোন আয়েশা আক্তারকে দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন দীর্ঘ বছর ধরে, এলাকাবাসী বলছেন পেশাদার যৌতুক ব্যাবসায়ী পরিবার, তাদের সবার বড়ভাই দীর্ঘ বছর আগে চক্ষু লজ্জায় পরিবার থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মুক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য বাগিবতণ্ডা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার ওসি মাহবুবে খোদা জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।