বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসনের মাদক উচ্ছেদ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ আটকৃত ৬ জনের ৪ জন ছাড়া পেল বেরোবি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা মারুফ ভূঁইয়ার জামিনে। ৬ জনের ২ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ৪ জন বহিরাগত। ছাড়া পাওয়া ৪ জনের ২ জন ইংরেজি বিভাগ ও গণিত বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ২ জন বহিরাগত।

শনিবার (২৮ মে) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জংগল থেকে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে মাদক সেবন হচ্ছে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ ঘটনাস্থলে যাই। এতে ছয়জন কে আটক করা হয়। তাদের পাশ থেকে মাদকদ্রব্য ও মাদক খাওয়ার সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এসময় তাদের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় গাজা, গাজা কাটার কাঁচি ও সুপারি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ ভূঁইয়ার জামিনে ও বেরোবি ছাত্রলীগ কর্মী মামুন সাকিল, সাগর শেখ এবং কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল কে সাক্ষি রেখে আটককৃত চারজনের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। অপর দুইজনকে তাজহাট থানায় সোপর্দ করা হয়।

বেরোবি ছাত্রলীগনেতা মারুফ ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টা হচ্ছে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পরে আমরাও খোজ নিয়েছি যেটুকু করা দরকার করেছি। জামিন হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন।

বেরোবি প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে মাদক উচ্ছেদের অভিযান শুরু করেছি। আমরা মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। যেই হোক না কেন কারও বিরুদ্ধে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গতকাল রাতেও ৬ জনকে আটক করে থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আজকেও অভিযানে ছয়জন আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে ৪ জন কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।