আওয়ামীলীগ লুটেরার দল, এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবেনা বলে মন্তব্য করেছে সৈয়দপুরের জাসদ নেতৃবৃন্দ। তারা বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধা সাড়ে ৭টায় এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন। শহরের শেরে বাংলা সড়কস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জ্বালানী তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) উপজেলা সভাপতি আজিজুল হক। বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজাউদ্দৌলা সুজা, জাতীয় শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মোমিন, জাসদ নেতা শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এই কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সৈয়দপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহুল আলম মাস্টার। অংশগ্রহণ করেন যুব মৈত্রীর জেলা আহবায়ক ওবায়দুর রহমান, জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেনসহ জাসদ নেতাকর্মীরা।
ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, এই আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল নেই। তারা এখন লুটেরার দলে পরিনত হয়েছে। জনগণকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্রাস করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও পাচার করে বিদেশে নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছে। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে দিয়েছে। সিঙ্গাপুর করার স্বপ্ন দেখিয়ে উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্পের আড়ালে শেখ পরিবার আর বর্জুয়া গোষ্ঠী হাতিয়ে নিয়েছে।
তারা বলেন, আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে আওয়ামীলীগের সাথে ১৪ দলীয় জোট করে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠন করেছি। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রতারণায় আজ আমরা হতাশ। তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় মেতেছে। একের পর এক জনবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে দ্রব্যমূল্যের যাতাকলে পিষ্ট করে চলেছে। তাদের অপকর্মের মাত্রা চরমভাবে বেড়ে গেছে। তাদেরকে আর ছাড় দেয়া ঠিক হবেনা। ক্ষমতা থেকে বিতারিত করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, কোন দুঃশাসকই জাসদের আন্দোলনের কাছে টিকতে পারেনি। স্বৈরাচার এরশাদ, জঙ্গি খালেদাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ তো ব্যাপারই না। জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এখন মাঠে নামলেই সরকারের পতন অনিবার্য। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ বাংলার মসনদে থাকতে পারবেনা। কেউ না আসলেও জাসদ একাই প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
তারা দ্রুততম সময়ে জ্বালানী তেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পন্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এনে সব ধরণের জনসেবার মান উন্নয়ন এবং সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। নয়তো অচিরেই এর খেসারত ভয়াবহভাবে দিতে হবে।