নরসিংদী রাজধানীর অদূরে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈনিক শিল্প এলাকা। সারা বাংলাদেশের কাপড়ের চাহিদার সিংহভাগ এ জেলা মিটিয়ে থাকে । আগামী ১৭ তারিখ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নরসিংদী জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে । এই সম্মেলনকে সফল করতে ইতি মধ্যেই নরসিংদী স্টেডিয়ামে স্টেজ ও প্যান্ডেলের কাজ চলমান। নরসিংদী জেলার সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রায় বারজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সুত্রে জানাযায় আগামী জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অত্যান্ত শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করতে চায়। যেই কমিটির প্রধান লক্ষ হবে জামাত বিএনপিকে প্রতিহত করা । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রি এ পর্যন্ত নরসিংদী জেলার বারজনের সিভি পেয়েছেন । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নরসিংদী জেলার দায়িত্বপ্রান্ত মির্জা আজম এমপি ইতি মধ্যেই নরসিংদী জেলার সকল প্রার্থীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। জেলার সিনিয়র নেত্ববৃন্দের নিকট যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। তিনি চান সকলের পরামর্শ নিয়ে বিতর্কের উদ্ধে থেকে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা । এবং নরসিংদী আওয়ামী লীগকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে প্রধান মন্ত্রিকে উপহার দিতে। এবং তিনি এই বারজনের মধ্যে দুইজনের হাতে জেলা আওয়ামী লীগের চাবি তুলে দিতে চান। নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ দুগ্রুপে বিভক্ত এক দিকে সদর সাংসদ সদস্য লে,কর্ণেল( অবসর প্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক তাকে সমর্থন দিচ্ছে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও রায়পুরা উপজেলার বারবার নির্বাচীত সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, অপর দিকে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সফল মেয়র করোনা যুদ্ধা খ্যাত কামরুজ্জামান কামরুল কে সমর্থন দিচ্ছে পলাশ উপজেলা( ২) স্থানীয় সাংসদ ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ও তার সহচর সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন নরসিংদী( ৩) শিবপুর উপজেলার সাংসদ জহিরুল ইসলাম ভূইয়া মোহন, এদিকে জেলার তৃণমূল নেতা সাবেক পৌরমেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি করোনা যুদ্ধা খ্যাত মানবিক মেয়র খেতাব প্রাপ্ত মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল কে নিয়ে জেলা জুড়ে গুঞ্জন শোনা যায। জেলার তৃণমূল নেতাকর্মি চায় জামাত বিএনপিকে প্রতিহত করতে হলে এবং জেলা আওয়ামী লীগ কে সুসংগঠিত করতে হলে কামরুজ্জামান কামরুল এর বিকল্প নেই । তাই এবারের সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামরুল কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চায় জেলাবাসী। জেলার অতীতের জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে কামরুজ্জামান কামরুল এর অগ্রণী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয় যা জেলার সবার দৃষ্ঠিগোচর হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও এই বিষয়টি অবগত আছেন। তাই ঘুরে ফিরে সেই পরিক্ষিত নেতা কামরুজ্জামান কামরুল কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চায়। এবং তাকে ঘিরেই জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে জেলার বেশ কটি ইউনিয়ন সভাপতির সাথে কথা বললে তারা বলেন যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের জন্য কামরুজ্জামান কামরুল ই সবার সেরা। তিনি আরো বলেন করোনার সময়ে জেলা ব্যাপী ত্রাণ বিতরণ করে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন। যা এই জেলার অন্য কোন নেতা করেনি। তিনি কর্মিবান্ধব নেতা আমরা তাকেই চাই। আমাদের যে কোন সমস্যায় পরলে তার কাছেই যাই এবং তিনি সর্বাত্বক চেস্টা করে আমাদের সমস্যা গুলো দূর করে থাকে । তিনি একজন প্রকৃত আদর্শবান বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমরা তার নেতৃত্বে বিশ্বাসী। মূলত করোনা কালীন সময়ে তার অগ্রণী ভুমিকার জন্য কেন্দ্রে তার ভাবমূতি অনেকটা উজ্জ্বল হয়েছে। যখন মানুষ দুমুঠো খাবার পেত না ঘরে সন্তান নিয়ে অনাহারে অধাহারে দিনপার করতো সেই সময় সাহসী কামরুজ্জামান কামরুল নিজের জিবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। ভূক্ষা মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছে দিয়েছিল এমন নজির সারা বাংলাদেশে কোথাও দেখা যায়নি তখন তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছিলেন। তিনিই একমাএ নেতা প্রধান মন্ত্রির ডাকে সাড়া দিয়ে মাঠে ঝাপিয়ে পরেছিলেন প্রায় ছয়মাস ব্যাপী এই ত্রাণ সহায়তা করেছিলেন।