এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী ডক্টর কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বিদ্যালয় থেকে বিদ্যান ব্যক্তি সৃষ্টি করতে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনীতি প্রত্যেক দল আলাদা মতবাদে পরিচর্যা করবে কিন্তু রাজনৈতিক পরিবেশ থাকতে হবে দেশে। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যান ব্যক্তি বের হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে, শিক্ষকেরা সম্মানিত হবে। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার তিনবার তদন্ত করেছেন প্রতিবারে তিনি সরকারের কাছে প্রাপ্য রয়েছেন। তাকে এক সময় সরকার প্রধান করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি জিয়া পরিবারের সাথে বেঈমানী না করে সেই পথ পরিত্যাগ করেছেন। তার বর্তমান অবস্থার জন্য তার শিক্ষক বিনোদ বিহারীর কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এক সময় এই এলাকায় কলেজ তো দূরের কথা তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। তিনি ৬ বার এমপি হয়েছেন, তিনবার মন্ত্রী হয়ে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানান। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার কথা স্মরণ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকার শিক্ষা বিস্তারে এগিয়ে এসেছেন বলে।

গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা সদরস্থ ঐহিত্যবাহী জোয়ারা বিশ্বম্ভর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষাথর্ী পরিষদের পূণর্মিলনী উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ে মাঠে অনুষ্টিত হয়। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি তিনকড়ি চক্রবতর্ী, দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব দীলিপ চৌধুরী, প্রধান অতিথি ছিলেন এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী ডক্টর কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর
বিক্রম। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. কামেলা খানম, যমুনা ব্যাংকের পরিচালক আবদুল জব্বার চৌধুরী, বার্জার পেইন্টের প্রধান নির্বাহী নাজিম উদ্দীন হেলালী, ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন। আলোচনায় অংশ নেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী যথাক্রমে, ডা. মাহমুদুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, এড. শাহাদত হোসেন, উৎপল রক্ষিত, এড. মো. দেলোয়ার হোসেন, মহিউদ্দীন, আরশাদ উল্লাহ, অধ্যাপক নুরুল আহাসান, আবদুস সবুর অপুসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনের পর প্রাক্তন, বর্তমান ও প্রয়াত শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান, ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষাথর্ীদের পরিচিতি, আড্ডা, স্মরণিকা প্রকাশ, ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামের মেজবান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষাথর্ীদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় অঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠে। তারা যেন কৈশোর পেরিয়ে জীবনের রং মাখানো বিদ্যালয়ের করিডোরে আবার যেন এসে ধরা দিল। হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ সম্মিলনের বঁাধ ভাঙ্গা জোয়ার যেনো ফিরে পেলো সবাই। আনন্দ হাসি আর কথায় মালায় সবার মধ্যে প্রাণ উচাটন করা এক মনোরোম ভালো লাগার শিহরণ জাগিয়ে দিয়েছে। সব বন্ধুরা একে অপরকে যেনো নতুন করে খুঁজে পাওয়ার উৎসবে মেতে উঠেছে। এদের মধ্যে ছিল ডাক্তার, প্রকৈাশলী, আইনজীবী, ব্যাংকার, সরকারী উচ্চ পদস্থ কমর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক. সাংবাদিক। প্রতিটি ব্যাচের বন্ধু হিসেবে নারী পুরুষ বন্ধুত্বের বন্ধনে সবাই একে অপরকে ফিরে পাওয়ার নান্দনিক সুখ ফিরে পেয়েছে। দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা বন্ধুদের নাচ গানে আড্ডায় প্রাণোচ্ছুল তারুণ্যের ধারায় উদভ্যালিত ছিল সবাই। এই যেন এক অন্য রকম আনন্দের পরিবেশ।