গত ২৬ শনিবার ফেব্রুয়ারীতে ২০২২ তারিখ সাভারের আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রনস্হলে ডিস ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে হামলায় উভয় পক্ষের ২৫ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছিলো। সেই সুত্র ধরে আজ ২৮ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে ১নং ওয়ার্ডের রনস্হলে একাত্তর ট্রিবিউন এর বিশেষ প্রতিবেদক উপস্থিত হলে ভুক্তভোগী হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে, কিছুক্ষণের মর্ধ্যে গনমার্ধ্যমকর্মী মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানু’র উপস্থিতি জেনে তাৎক্ষণিকভাবে মানববন্ধনের রুপ নেয়। এ সময় ৪ বছর আগে একই ডিস ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে ডিস সংযোগ কর্মীকে জবাই করে বস্তায় ভরানোর ঘটনা ঘটলেও আজও তার বিচার/প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি না হওয়ায়, সাংবাদ কর্মীকে দেখে সন্তান হারানোর স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর আহাজারি। ও-ই নারীর ভগ্নিপতিকে মৃত্যু নিশ্চিত করাতে উপুর্যুপরি হামলা চালালে এ খবর কিছুক্ষণের মধ্যে চাউর হলে এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। সন্তান হারা ও-ই মা বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার সন্তান হারানোর বিচার চাই, সাংবাদিকদের কাছে দেশবাসীর কাছে বিচার চাই ।
উল্লেখ্য যে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল সারে ১১ টায় ডিস ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রনস্হল/গোহাইলবাড়ী এলাকায় ডিস ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলায় ২৫ জন উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত ঘটনায় সরেজমিনে গিয়ে প্রতক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর ভাস্যমতে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, সকাল ১১টায় শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রনস্হল গনি মার্কেটে একটি রড সিমেন্টের দোকানে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় নেতাকর্মী এবং শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ চেয়ারম্যান এর ভাইসহ ডিসলাইনের তার(ক্যাবল)কেটে দেওয়া নিয়ে স্হানীয়ভাবে মিমাংসা/সুরাহার উদ্দেশ্যে বসেছিলেন, একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সন্ধ্যায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।এমতাবস্থায় সবাই চলে গেলেও সেখানে গনমার্ধ্যম কর্মীদের সাক্ষাৎকার দেওয়া/নেওয়ার জন্য ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং আব্দুল হাইয়ের কয়েকজন লোকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন এমন সময় শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আমির হোসেন খান জয়ের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জনের একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে গনমার্ধ্যম কর্মী ছাড়া সকলকেই পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে হতাহতের ঘটনা কিছুক্ষণের মর্ধ্যে পুরো এলাকায় চাউর হলে এলাকাবাসী আহতদের নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটছিলেন গোহাইলবাড়ী মেসিনপার হয়ে জিরানী বাজার হয়ে চক্রবর্তীতে অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং কলেজ হাসপাতালে পথিমধ্যে তাদের একজনকে আমির হোসেন খান জয়ের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে তার বাসায় আটক করার ঘটনা এলাকাবাসীর কাছে পৌছালে এলাকাবাসী একজোট হয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য জয়ের বাসা ঘেরাও করলে আবারও সংঘর্ষ বাধলে যুবলীগ সভাপতি আমির হোসেন খান জয়ের বাবা মা সহ আরও অনেকে আহত হয়। তবে এ ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটলেও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন মামলা করতে গেলেও মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিক জয় বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় জাহাঙ্গীর মেম্বারের সমর্থক আহতদের মর্ধ্যে একজন হাসপাতালের আইসিইউতে আসংখ্যাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকাবাসী যুবলীগ নেতা আমির হোসেন খান জয় এর পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন তারা সকলে জয় যুবলীগের সভাপতি পদ ব্যাবহার করে দীর্ঘদিন ধরে তার নেতৃত্বে এলাকাবাসীকে জিম্মি দসায় রেখেছেন তারা জানান, কৃষি ক্ষেত ধান কাটা বা জমি চাষ করলে তাদের মেসিন,পাওয়ার টিলার ট্রাক্টর নিতে বাধ্য করে, এমনকি জমি ক্রয়/বিক্রয় করলেও তাদের চাঁদা দিতে হয়, অভিযোগ উঠেছে জয়ের চাচার টিন রড সিমেন্টের দোকান থেকে এবং ইট ক্রয় না করার কারনে মিস্তিরিদের মারডাং হুমকি ধামকিসহ বাসাবাড়িঘর নির্মানকারী মালিককেও তার খেসারত দিতে হয় এবং তাদের কাছে কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। কৌশলে টিন, ইট, সিমেন্ট, রড বাকীতে দেওয়ার আশ্বাসে নেওয়ানোর পরে খুবই অল্প কিছুদিনের মধ্যে টাকা পরিষদ করে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে নানান ধরনের চাঁদাবাজী।
এর থেকে এলাকাবাসী পরিত্রাণ চায় সংশ্লিষ্টদের কাছে এবং এর উপযুক্ত বিচার শাস্তির দাবিও জানান তারা।