মাগুরায় প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট,পিটিআই এর সুপার শাহিদা খাতুনের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মাগুরা ঝিনেদা রোডের পিটিআই এর সামনে মানববন্ধন থেকে তারা শাহিদা খাতুনের সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিচার দাবী করেন। অভিভাবকরা জানান, শাহিদা খাতুন গত ২৭ বছর ধরে মাগুরা পিটিআই এ চাকরি করে আসছেন।

গত ৪বছর আগে তিনি সুপার পদে পদোন্নতি পান। পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকেই তিনি পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ে ভর্তি, স্কুল পরিচালনায় উদাসিনতা ও করোনার সময় ওয়ার্কসীটের টাকা আত্মসাতসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। করোনাকালিন সময়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওয়ার্কসীট বা প্রশ্নপত্র তৈরী ও বিনামূল্যে বিতরণ বাবদ তিনি ৭০হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও একটি টাকাও ছাত্রছাত্রীদের পেছনে খরচ করেননি। বরং ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী একটি ফটোকপির দোকান থেকে নগদ মূল্যে কিনতে বাধ্য করেন। স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে একক নেতৃত্বে তিনি বিদ্যালয়ের নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোন বরাদ্দই ঠিকমত খরচ করেন না। বিদ্যালয়ের বাথরুম অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত হলেও তিনি সেখানে একটি টাকাও বরাদ্দ করেন না।

ফলে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ঐতিহ্যবাহী পিটিআই স্কুল জেলার মধ্যে সবচেয়ে নামকরা স্কুল হলেও তিনি সুপারের দায়িত্বে আসার পর তার দূর্নীতি, অনিয়ম আর উদাসিনতায় এখানকার সে ঐতিহ্য ম্লান হতে চলেছে। তার দূর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অভিভাবকবৃন্দ দ্রুত শাহিদা খাতুনের অপসারণ ও দূর্নীতির বিচার দাবী করেন। এছাড়াও ইতিমধ্যে সুপার শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে পিটিআই এর শিক্ষানবীশ শিক্ষকদের কাছ থেকে নিয়মের বাইরে অধিক অর্থ কটে রাখা, সুপারের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে না থেকে অনিয়ম করে বাড়ি ভাড়ার টাকা উত্তোলন, দারোয়ান-আয়াসহ বেতন সিটে বেতন বেশি লিখে কম বেতন দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।